অনন্তমূল
অনন্তমূল (ইংরেজি: Indian sarsaparilla), (সংস্কৃত: क्षीरिणी), (বৈজ্ঞানিক নাম: Hemidesmus indicus), হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার একটি উদ্ভিদ প্রজাতি।
বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-৪ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত
ইউনানী নাম: ওশবা (দেশী), শারিবা ,
ইংরেজী নাম: Indian Sarsaparilla
বৈজ্ঞানিক নাম: Hemidesmus indicus (Linn) R.Br
ব্যবহার অংশ: পাতা সহ গাছের সমস্ত অংশ।
রোপনের সময় ও পদ্বতি: আশ্বিন হতে পেৌষ মাসে ফল ধরে। বীজ থেকে চারা তৈরি করে লাগানো যায়। তবে সচরাচর অঙ্গজ অংশের মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার করা হয়। বর্ষা মেৌসুমের পূর্বে বীজ বপন করতে হয়।
জন্ম ও প্রাপ্তি স্থান: বাংলাদেশে যে কোন স্থানে অনন্ত:মূল গাছ পাওয়া যায়। বাড়ীর আঙ্গীনায়,বাগানে, ফুলের বাগানে অথবা অনেকে ঔষধি গাছের চাষ করে থাকেন সেখান থেকে সংগ্রহ করা যায়। অন্ত:মূল একটি বনজ গাছ। প্রাকৃতিক ভাবে জন্মায়। তাছাড়া মানুষ চাষ করে থাকে।
অনন্ত:মূল গাছের ধরণ: এটি একটি লতা জাতীয় উদ্ভিদ। কোন কিছুর উপর ভর করে কিংবা অন্য গাছকে অবলম্বন করে পেচিয়ে থাকে। মূল অনেক লম্বা হয় এবং মাটির অনেক গভীরে প্রবেশ করে বলে এর নাম হয়েছে অনন্তমূল। পাতা সরল, সরু ও লম্বা, দেখতে কালচে সবুজ। পাতার মাঝখানে শিরা বরাবর সাদা দাগ থাকে। পাতা ও লতার যেকোন অংশ ছিড়লেই সাদা রঙের কষ বের হয়।
গুনাগুন: খোস পাচড়া, প্রদাহ, ব্রণ, অরুচিতে, হাত-পা জ্বালা-পোড়া।
খোস পাচড়া: অনন্ত:মূল গাছের মূল ১-৩ গ্রাম পিষিয়ে প্রত্যক দিন আহারের পর ২ বার। প্রদাহ, ব্রণ: অনন্ত:মূল গাছের মূল ১-৩ গ্রাম পিষিয়ে কুসুম গরম পানি মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিতে হবে।
অরুচি: অনন্ত:মূল গাছের পাতা সহ গাছের রস ১০-১৫ মিলি বের করে অল্প পানি দিয়ে খেতে হবে অথবা থেতো করে রাতে গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে রস সকালে খালি পেটে খেতে হবে। তবে ঔষধ সেবন করার কিছক্ষণ পর নাস্তা খেতে হবে।
হাত-পা জ্বালা: গাছের সমস্ত অংশ ৩-৫ গ্রাম পিষে রস করে পানি সহ অল্প চিনি মিশিয়ে প্রত্যক দিন ২ বার খেতে হবে।
Leave a comment
You must be logged in to post a comment.