নারীর যে সমস্যার কোনো চিকিৎসা নেই এলোপ্যাথিতে
চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতিতে মানুষের বহু জটিল সমস্যা এখন খুব সহজেই সমাধান হয়ে যায়। বিস্ময়কর সব প্রযুক্তি ও চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে মানুষ জয় করছে নানা রোগ। কিন্তু নারী জীবনের কিছু প্রাকৃতিক ঘটনার কাছে গোটা এলোপ্যাথিক চিকিৎসাবিজ্ঞান একেবারেই অসহায়।
নারীর ঋতুচক্র তেমন একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সে মেয়েরা পরিচিত হয় শরীরের এই চক্রের সঙ্গে। কমবেশি ৫০ বছর বয়স থাকে এই অবস্থা।
নারীর ঋতুচক্র বন্ধ হওয়ার আগে থেকেই তিনি তা বুঝতে পারেন। যাকে বলা হয় মেনোপজ (দীর্ঘস্থায়ী ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া)। এ সময় শরীরে বেশকিছু উপসর্গ দেখা যায়। যেমন, মুড সুইং, অল্পেতেই পরিশ্রান্ত হয়ে যাওয়া বা ভুলে যাওয়া। এই সময়ে ওজন কমাতে খুবই সমস্যা হয়। সমস্যা দেখা দেয় হাড়েরও।
কিন্তু নারীর মেনোপজ এড়ানোর কোনো উপায় এখনো আবিষ্কার করতে পারেনি এলোপ্যাথিত চিকিৎসা বিজ্ঞান। তবে আগে থেক হোমিওপ্যাথি কিছু ঔষধ রয়েছে যে গুলো খেলে এবং খাবারদাবার ও দৈনন্দিন জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ এনে একে কমিয়ে রাখা যায়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট, ‘ওয়েবএমডি’ (WebMD)তে নারী জীবনের এ সময়ের জন্য একটি খাদ্যতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
খাওয়ার তালিকায় যা অবশ্যই থাকা উচিত
– তৈলাক্ত মাছ
– বিনস, কড়াইশুঁটি, সবুজ শাক
– ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার
– কলা, আপেল, প্রুন বা ফিগ
– লো-ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবার
– প্রোটিনযুক্ত খাবার- যেমন ডাল, স্প্রাউটস, ডিম
যা খাওয়া একেবারেই উচিত নয়
– তেল-মসলা, গরম মসলা
– প্যাকেজড বা প্রসেসড খাবার
তবে এই সময়ে নারীর জন্য জরুরি হলো শারীরিক শ্রম। যেহেতু এই সময়ে দেহের ওজন বেড়ে যায়, সে কারণে কসরত করাটা খুবই প্রয়োজন। মেনোপজের সময় স্ট্রেন্থ ট্রেনিং ও কার্ডিওভাসকুলার এক্সারসাইজ খুবই প্রয়োজনীয়। তবে তা যেন হয় কোনো প্রশিক্ষিত ট্রেনারের তত্ত্বাবধানে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন