Category Archives: বিষন্নতা

Aurum metallicum – অরাম মেট

অরাম মেট হলো হোমিওপ্যাথিতে বিষন্নতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। বিশেষত মারাত্মক ধরণের বিষন্নতা যাতে মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার নেশা চেপে যায়, তাতে অরাম মেট ভালো কাজ করে। সে ভাবে সে পৃথিবীতে বসবাসের অনুপযুক্ত এবং আত্মহত্যা করতে আনন্দ পায়। স্বর্ণ থেকে প্রস্তুত করা এই ঔষধটি আত্মহত্যা ঠেকানোর একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। সাধারণত স্বর্ণ মানুষকে আত্মহত্যা করতে উৎসাহিত করে; যেমন মেয়েরা স্বর্ণের অলঙ্কার ব্যবহার করে বেশী আর এই কারণে তারা আত্মহত্যাও করে বেশী। কেননা স্বর্ণ তাদের চামড়া দিয়ে অল্প অল্প করে শরীরে ঢুকে থাকে। পক্ষান্তরে স্বর্ণকে শক্তিকৃত করে তৈরী করা ঔষধ অরাম মেট মানুষের আত্মহত্যা করার ইচ্ছাকে নষ্ট করে দেয়।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Causticum – কষ্টিকাম

যারা অন্যের দুঃখ-কষ্ট দেখতে সহ্য করতে পারেন না, প্রতিবাদী স্বভাবের, অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে থাকতে পারেন না, ভুলো মন, দরজা লাগানো হয়েছে কিনা কিংবা চুলা নেভানো হয়েছে কিনা বারবার পরীক্ষা করেন, এই ধরনের লোকদের বিষন্নতায় কষ্টিকাম প্রযোজ্য।

Causticum – কষ্টিকামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো কাশি দিলে প্রস্রাব বেরিয়ে যায়, সকাল বেলা গলা ভাঙ্গা, বুকে প্রচুর কফ কিন্তু সেগুলো উঠানো যায় না, যেটুকু কফ উঠে তাও আবার ফেলতে পারে না বরং খেয়ে ফেলে, পেটে বা শরীরের বিভিন্ন স্থানে জ্বালাপোড়া করে, কাশি ঠান্ডা পানি খেলে কমে যায়, কাশি দিলে প্রস্রাব বেরিয়ে যায় ইত্যাদি। ইহার মানসিক লক্ষণ হলো অন্যের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে পারে না।

Causticum – পোড়ার পরবর্তী যে-কোন জটিলতা নিরাময়ের জন্য কষ্টিকাম ব্যবহার করতে পারেন। অনেকে বলেন যে, “সেই পোড়ার ঘটনার পর থেকেই আমার এই সমস্যাটি দেখা দিয়েছে”- এসব সমস্যার চিকিৎসার ক্ষেত্রে কষ্টিকাম প্রয়োগ করুন।

Causticum – হাঁপানী রোগী একমাত্র দাড়িয়ে থাকলে আরাম পায়, লক্ষণে কষ্টিকাম প্রযোজ্য।

Causticum – মাসিক অনিয়মিত হওয়ার কারণে মৃগী রোগ হলে অথবা মেয়েদের প্রথম মাসিক শুরু হওয়ার বয়সে মৃগী রোগ হলে কষ্টিকাম প্রযোজ্য। তাছাড়া খোলা বাতাসে হাটার সময় পড়ে যায় আবার সাথে সাথেই ঠিক হয়ে যায়। অমাবশ্যার সময় যদি মৃগীর আক্রমণ হয় তবে কষ্টিকাম উপকারী। ঘুমের ভেতরে মৃগীর আক্রমণ হয় এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রস্রাব বেরিয়ে যায়।ইহার মানসিক লক্ষণ হলো অন্যের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে পারে না।

Causticum – যারা নিজের চাইতে অন্যের দুঃখ-কষ্টে বেশী কাতর হয়ে পড়েন, তাদের জন্য কষ্টিকাম ( ৩০,২০০) ।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Ignatia amara – ইগ্নেশিয়া

অল্প সময় বা অল্প কয়েকদিন পূর্বে বড় ধরণের মানসিক আঘাত পাওয়ার কারণে বিষন্নতার সৃষ্টি হলে তাতে ইগ্নেশিয়া প্রয়োগ করতে হবে। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো কোন কারণ ছাড়াই হাসে-কাদে, কিছুক্ষণ পরপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে, হাই তোলে, গলার মধ্যে একটা চাকার মতো কিছু আটকে আছে মনে হওয়া, নিদ্রাহীনতা, মাথাব্যথা, পেটের মধ্যে খামচে ধরা ব্যথা ইত্যাদি।

Ignatia – ইগ্নেশিয়া হলো অদ্ভূত সব লক্ষণের ঔষধ। যেমন কানের শো শো শব্দ গান শুনলে কমে যায়, পাইলসের ব্যথা হাটলে কমে যায়, গলা ব্যথা ঢোক গেলার সময় কমে যায়, মাথা ব্যথা মাথা নীচু করলে কমে যায় ইত্যাদি। যত কাশে তত কাশি বেড়ে যায়- এই লক্ষণ থাকলে তাতে ইগ্নেশিয়া প্রয়োগ করতে হবে। সাধারণত শোক, দুঃখ, বিরহ, বিচ্ছেদ, প্রেমে ব্যর্থতা, আপনজনের মৃত্যু ইত্যাদি কারণে যে-কোন রোগ হলে তাতে ইগ্নেশিয়া প্রযোজ্য।

Ignatia – দুঃসংবাদ শুনে অজ্ঞান হলে ইগ্নেশিয়া ঔষধটি পাঁচ/দশ মিনিট পরপর খাওয়ান।

Ignatia – দুঃসংবাদ শোনার পরে অথবা বিরহ-বিচ্ছেদ-ছ্যাকা খাওয়ার কারণে, মনে কষ্ট পাওয়ার কারণে পেটে ব্যথা হলে ইগ্নেশিয়া খেতে হবে।

Ignatia – সাধারণত শোক, দুঃখ, বিরহ, বিচ্ছেদ, হতাশা, সমালোচনা, একাকিত্ব ইত্যাদি আবেগজনিত কারণে এংজাইটি হলে ইগ্নেশিয়া ঔষধটি দারুণ কাজে দিবে। উপরোক্ত আবেগজনিত কারণে অনিদ্রা, পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা, ডায়েরিয়া, মাথা ঘুরানি, কান্নাকাটি ইত্যাদি যে-কোন সমস্যা দেখা দিলে ইগ্নেশিয়া আপনাকে তা থেকে সহজেই মুক্তি দিবে।

Ignatia – প্রেমে ব্যর্থতা, বিষণ্নতা, আপনজনের মৃত্যু, বিরহ, ভীষণ মানসিক কষ্ট ইত্যাদির পরে প্রথমে ইগ্নেশিয়া(৩,৬) এবং পরে নেট্রাম মিউর (২০০, ১০০০) খাওয়া জরুরি।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Natrum carbonicum

সাধারণত নম্র-ভদ্র-শান্তিপ্রিয়-পরোপকারী স্বভাবের লোকদের ক্ষেত্রে এই ঔষধটি প্রযোজ্য, যারা ঝগড়া-ঝাটিকে ভয় পায়। কোন কারণে এরা কষ্ট পেলে সেটি মনের মধ্যে চেপে রাখে এবং বিষন্নতায় ভোগতে থাকে। এরা বিষন্নতায় আক্রান্ত হলে বসে বসে বিরহের গান শুনতে থাকে। এই ধরণের লোকদের ক্ষেত্রে নেট্রাম কার্ব হলো বিষন্নতার শ্রেষ্ট ঔষধ।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Kali phosphoricum – ক্যালি ফস

সাধারণত কঠোর পরিশ্রমের কারণে, অতিরিক্ত মানসিক পরিশ্রমের ফলে, দীর্ঘদিন শোক-দুঃখ-আবেগ-উত্তেজনায় ভোগার কারণে বিষন্নতার সৃষ্টি হলে তাতে ক্যালি ফস ঔষধটি সুফল দিবে। কোন কাজে মনোযোগ দিতে না পারা, মানসিক পরিশ্রমে মাথাব্যথা, প্রচুর ঘামানো, সহজে সর্দি লাগা, রক্তশূণ্যতা, নিদ্রাহীনতা, বদহজম প্রভৃতি সমস্যা একসাথে দেখা দিলে তাতে ক্যালি ফস প্রযোজ্য।

Kali phosphoricum –  যারা দীর্ঘদিন যাবত এংজাইটিতে ভোগছেন এবং ইহার ফলে তাদের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছে আর মন্তমেজাজও খিটখিটে হয়ে গেছে, তাদের জন্য ক্যালি ফস ঔষধটি আল্লাহ্‌র একটি রহমত স্বরূপ।

Kali phosphoricum – একেবারে নার্ভাস ধরণের মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যাদের শরীরের অবস্থা বেশ খারাপ, ভীষণ বদমেজাজী, অতিরিক্ত শারীরিক-মানসিক পরিশ্রমে যাদের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছে।

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !