Category Archives: বুকের দুধ

Breast milk (বুকের দুধ, স্তন দুগ্ধ) : যে-সব নারী শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান, তাদের বুকে যথেষ্ট দুধ উৎপন্ন না হলে অনেক সময় শিশুদের জীবন নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যায়। এজন্য ঔষধের পাশাপাশি দুধ, কলা, মিষ্টি, গুড়া মাছ প্রভৃতি খাবারও যথেষ্ট পরিমাণে খাওয়া উচিত। ঔষধ নিম্নশক্তিতে অর্থাৎ মাদার টিংচার (Q) শক্তিতে ২০ ফোটা করে আধা গ্লাস পানিতে মিশিয়ে রোজ দুইবার করে কমপক্ষে তিনদিন খাওয়া উচিত। (সতর্কতা ‍ঃ ঔষধ সবচেয়ে নিম্নশক্তিতে অর্থাৎ মাদার টিংচার (Q) শক্তিতে খাবেন। অন্যকোন উচ্চতর শক্তিতে খাবেন না। অন্যথায় দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি না পেয়ে বরং আরো কমে যাবে।)

Fragaria vesca

স্তনদুগ্ধ হ্রাস করতে বা শুকিয়ে ফেলতে  Fragaria vesca ঔষধ টি (৩০ বা ২০০ শক্তিতে) রোজ তিনবেলা করে কিছুদিন খান।

Chionanthus virginica

স্তনদুগ্ধ হ্রাস করতে বা শুকিয়ে ফেলতে Chionanthus virginica ঔষধ টি (৩০ বা ২০০ শক্তিতে) রোজ তিনবেলা করে কিছুদিন খান।

Ricinus communis – রিসিনাস

স্তনে দুধের উৎপাদন বৃদ্ধিতে রিসিনাস ঔষধটি শ্রেষ্টত্বের দাবীদার। এটি এমনকি কুমারী এবং বিধবাদের স্তনেও দুধ আনতে পারে।

Urtica urens – আর্টিকা ইউরেন্স

এটি কিডনীর পাথরের একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। নিয়মিত খেলে পাথর ছোট হতে থাকে এবং প্রস্রাবের সাথে অটোমেটিকভাবে বেরিয়ে যায়।

Urtica urens – এটিও পোড়ার এবং এমনকি রোদে পোড়ার ক্ষেত্রে একটি ভালো ঔষধ। ৬ বা ৩০ শক্তিতে খেলে এবং পানিতে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগালে জ্বালা এবং ব্যথা দূর করে দেয় এবং তাড়াতাড়ি ঘা শুকাতে সাহায্য করে।

Urtica urens –  আর্টিকা ইউরেন্স ঔষধটি বুকের দুধ বৃদ্ধির জন্য একটি অসাধারণ ঔষধ।

Pulsatilla pratensis – পালসেটিলা

গুরুপাক খাবার অর্থাৎ তেল-চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে পেট ব্যথা হলে পালসেটিলা খাওয়াতে হবে। গর্ভধারণের কারণে পেট ব্যথা হলেও ইহা প্রযোজ্য।

Pulsatilla – পালসেটিলা চিকেনপক্সের আরেকটি সেরা ঔষধ। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো গলা শুকিয়ে থাকে কিন্তু কোন পানি পিপাসা থাকে না, ঠান্ডা বাতাস/ ঠান্ডা খাবার/ ঠান্ডা পানি পছন্দ করে, গরম-আলো-বাতাসহীন বদ্ধ ঘরে বিরক্ত বোধ করে ইত্যাদি। আবেগপ্রবন, অল্পতেই কেঁদে ফেলে এবং যত দিন যায় ততই মোটা হতে থাকে, এমন মেয়েদের ক্ষেত্রে পালসেটিলা ভালো কাজ করে। এসব লক্ষণ কারো মধ্যে থাকলে যে-কোন রোগে পালসেটিলা খাওয়াতে হবে।

Pulsatilla – পালসেটিলা ঔষধটিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে পারে। ঠান্ডা মেজাজী এবং কথায় কথায় চোখ দিয়ে পানি ঝরে এমন মেয়েদের ওপর এটি বেশী কাজ করে।

Pulsatilla pratensis – যারা অল্পতেই কেঁদে ফেলে এবং নানানভাবে সান্ত্বনা দিলে ভালো থাকে, তাদের টেনশানে পালসেটিলা প্রযোজ্য।

Pulsatilla pratensis – মাসিক বন্ধের চিকিৎসায় হোমিও ঔষধগুলোর মধ্যে পালসেটিলার স্থান এক নম্বরে। এটি স্নেহপরায়ন, কথায় কথায় কেদে ফেলে, খুব সহজেই মোটা হয়ে যায়….এই ধরণের মেয়েদের বেলায় ভালো কাজ করে। মাত্রা হবে নিম্নশক্তিতে (Q, ৩, ৬ ইত্যাদি) ৫ থেকে ১০ ফোটা করে রোজ তিনবার।