• ad-5
    হোমিওপ্যাথি বিডি.কম ওয়েব সাইটে আপনি কি নতুন ? তা হলে এখানে ক্লিক করুন । হোমিওপ্যাথি বিডি.কম সাইট থেকে উপাজিত অর্থের এক অংশ গরীব দূঃখীদের জন্য ব্যায় করা হয় । একটি ফ্রী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার জন্য তৈরী বাংলা ব্লগ সাইট ।

বেশি ঘামে কী করবেন…

এই পোষ্টটি সংরক্ষণ করা অথবা পরে পড়ার জন্য নিচের Save to Facebook বাটনে ক্লিক করুন ।

স্বাভাবিক মাত্রার ঘাম কোনো অসুখ নয়। তবে অতিরিক্ত ঘাম পানিশূন্যতার কারণ। তা ছাড়া স্বাভাবিক জীবনও ব্যাহত হয়। ঘাম হলে শরীরের অভ্যন্তরে জমা হওয়া বাড়তি তাপ ধীরে ধীরে কমে যায়। কোনো কারণে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে ঘর্মগ্রন্থি বেশি করে ঘাম উৎপাদন করে। যেমন- ব্যায়াম করলে, নার্ভাস হলে, রোদে গেলে। কখনো কখনো খাবারের কারণেও ঘাম হয়। যেমন- বেশি মসলাযুক্ত খাবার বা ঝাল খেলে, তৈলাক্ত খাবার খেলে।

অতিরিক্ত ঘামের কারণে কারো কারো শরীর থেকে এক দিনে কয়েক লিটার পানিও বেরিয়ে যেতে পারে। কিভাবে বুঝবেন আপনি অতিরিক্ত ঘামছেন? স্বাভাবিক তাপমাত্রায় যখন অন্যরা ঘামছে না, তখন আপনার ঘাম হলে ধরে নিন আপনার অতিরিক্ত ঘামরোগ আছে। এ রোগটি হাইপ্যারাইড্রসিস নামে পরিচিত।

নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়

* ভিটামিন বি১২-এর অভাবে হাইপ্যারাইড্রসিস রোগ হয়। তাই ভিটামিন বি১২ যেসব খাদ্যে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় সেসব খাদ্য গ্রহণ করুন। ভিটামিন বি পরিবার যেমন- বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫যুক্ত খাদ্য খান।

* আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন- এস্পারাগাস, ব্রকোলি, গরুর গোশত, যকৃৎ, পেঁয়াজ, খাবার লবণ প্রভৃতি অতিরিক্ত খেলে বেশি ঘাম হয়। এগুলো বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

* বেশি বেশি পানি পান করুন। পানি দিয়ে মুখ, হাত, পা বারবার ধুয়ে ফেলুন।

* শারীরিক দুর্বলতা থেকেও অতিরিক্ত ঘাম হয়। তাই পুষ্টিকর খাবার, শাকসবজি, ফলমূল বেশি পরিমাণে খান।

* চায়ের মধ্যকার টনিক এসিড প্রাকৃতিক ঘামবিরোধী ওষুধ হিসেবে কাজ করে। তাই দেড় লিটার পানির মধ্যে পাঁচটি চায়ের ব্যাগ মিশিয়ে তার মধ্যে ১০-১৫ মিনিট হাত-পা ভিজিয়ে রাখুন। তা ছাড়া সবুজ চা পান করুন। এতেও উপকার পাবেন।

* হাত-পায়ে পাউডার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এটি ঘাম দূর করার পরিবর্তে আরো বাড়িয়ে দেয়। অতিরিক্ত ধূমপানও অতিরিক্ত ঘাম উৎপন্ন করে।

খেয়ে ঘাম কমান

বেশি ঘাম হলে অনেকেই বেশি করে পানি পান করেন; কিন্তু শুধু পানি নয়, লবণ, চিনি ও পাতিলেবু মিশিয়ে শরবত করে খেলে ভালো হয়। কেননা ঘামের সঙ্গে কিছু দূষিত পদার্থ ও তার সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণে সোডিয়াম ও যৎসামান্য পটাশিয়াম ও বাইকার্বোনেট শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। সোডিয়াম বাইকার্বোনেটের তারতম্যের জন্য শরীর অত্যন্ত দুর্বল ও অস্থির লাগে। এসব প্রতিরোধ করতে যথাযথ ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ ।

* গরমে দইয়ের ঘোল ও ডাব খেতে পারেন। দইয়ে থাকা ল্যাকটোজ খাবার হজম করতে সাহায্য করে আর ডাবের পানির পটাশিয়ামও শরীর সতেজ করে।

* কাঁচা আম পোড়ার শরবতও শরীর ঠাণ্ডা রাখে।

* বয়স্ক মানুষদের ঘাম বেশি হলে দ্রুত লবণ-লেবুর শরবত খাওয়ানো দরকার, না হলে হঠাৎ জ্ঞান হারাতে পারেন।

* গরমে ঘাম বেশি হয় বলে এ সময়ে সাড়ে তিন থেকে চার লিটার পানি, শরবত ও পাতলা চা খেলে ভালো হয়।

* পানিওয়ালা ঠাণ্ডা ভাত (পান্তা ভাত) খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে, ঘুমও ভালো হয়।

* গরমে ফল বেশি করে খেলে পানির তেষ্টা অনেকটাই কমে। তার সঙ্গে ফলে থাকা ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীর তরতাজা রাখতে সাহায্য করে। জামরুল, তরমুজ, লিচু, শশা, পাকা পেঁপে, পাকা আম যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন এ আছে। পাকা আমের ভিটামিন ‘এ’ শরীরে এনার্জি ধরে রাখে।

* কোল্ড ড্রিংসের বদলে টেট্রা প্যাকের জুস ভালো, তবে সবচেয়ে ভালো বাড়িতে তৈরি ফ্রেশ ফ্রুট জুস ও টাটকা ফল।

* এ সময় বেশি তেল-মসলা দেওয়া মাটন, চিকেন, মাছ না খেয়ে মুরগির স্টু, মাছের পাতলা ঝোল- এই ধরনের খাবার খেলে ভালো হয়।

ঔষধি গাছ সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন ।

1 Comment on বেশি ঘামে কী করবেন…

  1. hat paa ghamano bondho korar upay ki?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

-
namaj.info bd news update 24 short film bd _Add
.

নিজে সুস্থ থাকি , অন্যকে সুস্থ রাখি । সাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ে যে কোন প্রশ্ন থাকলে জানাতে পারেন ! ফোন : 01951 53 53 53 ( BD Time 10AM - 5PM )
হোমিওপ্যাথি বিডি.কম একটি ফ্রী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার জন্য তৈরী বাংলা ব্লগ সাইট ।
হোমিওপ্যাথি বিডি.কম ওয়েবসাইটের প্রকাশিত কোনও লেখা, সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।