Category Archives: প্রস্রাব

সিজিজিয়াম জ্যাম্বোলেনাম – Syzygium jambolanum

Syzygium jambolanum – দেশীয় কালজামের বীজ হতে প্রস্তুত। মুত্রে শর্করা বেশী এরুপ বহুমুত্র (Diabetes) রোগের উৎকৃষ্ট ওষুধ।
বোরিক বলেন, প্রস্রাবে শর্করার পরিমাণ কমাতে বা একবারে দূর করতে এই ওষুধের তুলনা নেই। ইনসুলিন ওষুধটি এর সমগুন বা সহযোগী ওষুধ।

Syzygium jambolanum – উত্তাপের অনুভূতি, তৃষ্ণা অত্যধিক, ঘন্টায় ঘন্টায় প্রচুর প্রস্রাব, দেহ শুকিয়ে যায়, প্রস্রাবে শর্করা, স্পেসিফিক গুরুত্ব কম, দেহে লাল লাল ফুস্কুড়ি, ঘা হয়, কার্বাঙ্কল  লক্ষণে প্রয়োগ করতে হয় । বিভিন্ন স্থানে বিশেষতঃ পিঠে বেদনা, প্রস্রাব করার পরেই অত্যন্ত দুর্বলতাবোধ । অম্ল লক্ষণ যুক্ত বহুমুত্র রোগী, উপরোক্ত লক্ষণে দারুন উপযোগী ।

Sarsaparilla – সার্সাপেরিলা

প্রস্রাব বের হওয়া শেষ হলে ভীষণ ব্যথা শুরু হয়, বসে প্রস্রাব করলে ফোটা ফোটা করে বেরোয় কিন্তু দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে ভালোভাবে প্রস্রাব বের হয় ইত্যাদি লক্ষণে সার্সাপেরিলা খেতে পারেন।

Chimaphila umbellata

এই ঔষধটি কিডনী বা মূত্রথলির পাথরের চিকিৎসায় ব্যবহার করতে পারেন। মূত্র পাথরজনিত ব্যথার চিকিৎসাতেও এটি ব্যবহার করতে পারেন।

Sarsaparilla, Lycopodium এবং Benzoic acid ঔষধ তিনটি মূত্র পাথরিতে ব্যবহার করতে পারেন যদি প্রস্রাব করার পূর্বে রোগী (ব্যথা-জ্বালাপোড়ার কারণে) চীৎকার করে থাকে।

Lycopodium clavatum – লাইকোপোডিয়াম

লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রোগের মাত্রা বিকাল ৪-৮টার সময় বৃদ্ধি পায়, এদের রোগ ডান পাশে বেশী হয়, রোগ ডান পাশ থেকে বাম পাশে যায়, এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, এদের সারা বৎসর প্রস্রাবের বা হজমের সমস্যা লেগেই থাকে, এদের দেখতে তাদের বয়সের চাইতেও বেশী বয়ষ্ক মনে হয়, স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ কিন্তু ব্রেন খুব ভালো, এরা খুবই সেনসিটিভ এমনকি ধন্যবাদ দিলেও কেদে ফেলে ইত্যাদি ইত্যাদি। উপরের লক্ষণগুলোর দু’তিনটিও যদি কোন রোগীর মধ্যে থাকে, তবে লাইকোপোডিয়াম তার কোষ্টকাঠিন্য সারিয়ে দেবে।

Lycopodium clavatum –   প্রস্রাবের সাথে যদি ইটের গুড়ার মতো পদার্থ যায়, তবে লাইকোপোডিয়াম খেতে হবে। এই ঔষধের অন্যান্য লক্ষণ হলো পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়া, বিকেল ৪টা থেকে ৮টার সময় রোগের কষ্ট বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।

Lycopodium clavatum –   লাইকোপোডিয়াম ঔষধটি স্তনের আকার বৃদ্ধি করতে যথেষ্ট শক্তিশালী। এটি উচ্চশক্তিতে (শক্তি ১০,০০০) পনের দিনে একমাত্রা করে কয়েক মাত্রা খান। প্রয়োজনে আরো উচ্চশক্তিতে খেতে পারেন। সেবাল সেরুলেটার ফাঁকে ফাঁকেও খেতে পারেন।

Lycopodium : যে-সব শিশুরা সারাদিন কান্নাকাটি করে কিন্তু রাতে চুপচাপ থাকে তাদেরকে Lycopodium নামক ঔষধটি কয়েকবার খাওয়ান।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Lycopodium clavatum – লাইকোপোডিয়াম Germany

Lycopodium clavatum – লাইকোপোডিয়াম Switzerland

Silicea – সিলিশিয়া / সাইলিশিয়া

যদি এমন হয় যে পায়খানা অর্ধেকটা বের হওয়ার পরে আবার পুণরায় ভিতরে ঢুকে যায়, তবে এই ধরণের কোষ্টকাঠিন্যে সিলিশিয়া খাওয়াতে হবে। সিলিশিয়ার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো শরীর বা মনের জোর কমে যাওয়া, আঙুলের মাথায় শুকনা শুকনা লাগা, আলো অসহ্য লাগা, ঘনঘন মাথা ব্যথা হওয়া, চোখ থেকে পানি পড়া, মুখের স্বাদ নষ্ট হওয়া, মাংস্তচর্বি জাতীয় খাবার অপছন্দ করা, আঙুলের মাথা অথবা গলায় আলপিন দিয়ে খোচা দেওয়ার মতো ব্যথা, পাতলা চুল, অপুষ্টি ইত্যাদি।

Silicea – সাইলিশিয়া ঔষধটি কিডনী বা মূত্রথলির পাথরে ব্যবহার করতে পারেন বিশেষত যাদের বাতের সমস্যা আছে।

Silicea – সিলিসিয়া ঔষধটি যাদের হাড়ের বৃদ্ধিজনিত সমস্যা আছে অর্থাৎ রিকেটগ্রস্থলোকদের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। ইহার সতর্কীকরণ লক্ষণ (aura) পেটের উপরের অংশে শুরু হয়ে থাকে এবং শরীরের বাম পাশে শীত শীত বোধ হওয়া বা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া এই ঔষধের একটি উল্লেখযোগ্য সতর্কীকরণ লক্ষণ। মানসিক চাপ বা আবেগ-উত্তেজনার কারণে আক্রমণের সূচনা হয় এবং অমাবশ্যা-পূর্ণিমায় আক্রমণের মাত্রা বেড়ে যায়। এই ঔষধের মেরুদন্ডের সাথে সম্পর্কিত কোন না কোন রোগ লক্ষণ থাকবেই।

Silicea – (আত্মবিশ্বাসের অভাব, ইচ্ছাশক্তির বিকলতা) : যাদের নিজের যোগ্যতার উপর বিশ্বাস কমে গেছে, মনের জোর কমে গেছে বা আত্মবিশ্বাস হ্রাস পেয়েছে, তারা Silicea নামক ঔষধটি Silicea (10M) পনের দিন পরপর খান। (যেমন একজন চৌকস উকিল যিনি প্রচণ্ড দক্ষতায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে প্রতিপক্ষের উকিলকে পরাস্ত করে অধিকাংশ মামলায় বিজয় ছিনিয়ে আনতেন, তিনি এখন আদালতে দাড়াঁতেই ভয় পান। ভাবেন আগের মতো হয়তো এখন আর পারবেন না।)
Silicea – যেই ফোড়া পেকে অনেকদিন থেকে পুঁজ পড়তেছে কিন্তু সারতেছে না অথবা খুবই ধীরে ধীরে সারতেছে, এমন অবস্থায় সিলিশিয়া ঔষধটি প্রযোজ্য। সিলিশিয়ার পুঁজ থাকে পানির মতো পাতলা।

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

 

Causticum – কষ্টিকাম

যারা অন্যের দুঃখ-কষ্ট দেখতে সহ্য করতে পারেন না, প্রতিবাদী স্বভাবের, অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে থাকতে পারেন না, ভুলো মন, দরজা লাগানো হয়েছে কিনা কিংবা চুলা নেভানো হয়েছে কিনা বারবার পরীক্ষা করেন, এই ধরনের লোকদের বিষন্নতায় কষ্টিকাম প্রযোজ্য।

Causticum – কষ্টিকামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো কাশি দিলে প্রস্রাব বেরিয়ে যায়, সকাল বেলা গলা ভাঙ্গা, বুকে প্রচুর কফ কিন্তু সেগুলো উঠানো যায় না, যেটুকু কফ উঠে তাও আবার ফেলতে পারে না বরং খেয়ে ফেলে, পেটে বা শরীরের বিভিন্ন স্থানে জ্বালাপোড়া করে, কাশি ঠান্ডা পানি খেলে কমে যায়, কাশি দিলে প্রস্রাব বেরিয়ে যায় ইত্যাদি। ইহার মানসিক লক্ষণ হলো অন্যের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে পারে না।

Causticum – পোড়ার পরবর্তী যে-কোন জটিলতা নিরাময়ের জন্য কষ্টিকাম ব্যবহার করতে পারেন। অনেকে বলেন যে, “সেই পোড়ার ঘটনার পর থেকেই আমার এই সমস্যাটি দেখা দিয়েছে”- এসব সমস্যার চিকিৎসার ক্ষেত্রে কষ্টিকাম প্রয়োগ করুন।

Causticum – হাঁপানী রোগী একমাত্র দাড়িয়ে থাকলে আরাম পায়, লক্ষণে কষ্টিকাম প্রযোজ্য।

Causticum – মাসিক অনিয়মিত হওয়ার কারণে মৃগী রোগ হলে অথবা মেয়েদের প্রথম মাসিক শুরু হওয়ার বয়সে মৃগী রোগ হলে কষ্টিকাম প্রযোজ্য। তাছাড়া খোলা বাতাসে হাটার সময় পড়ে যায় আবার সাথে সাথেই ঠিক হয়ে যায়। অমাবশ্যার সময় যদি মৃগীর আক্রমণ হয় তবে কষ্টিকাম উপকারী। ঘুমের ভেতরে মৃগীর আক্রমণ হয় এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রস্রাব বেরিয়ে যায়।ইহার মানসিক লক্ষণ হলো অন্যের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে পারে না।

Causticum – যারা নিজের চাইতে অন্যের দুঃখ-কষ্টে বেশী কাতর হয়ে পড়েন, তাদের জন্য কষ্টিকাম ( ৩০,২০০) ।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !